বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
৩১ জুলাই টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ‘উৎস ও কারণ’ খুঁজে পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। কমিটি মনে করছে, সেখানে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট মতামত তুলে ধরবে বলে জানা গেছে তদন্ত কমিটি সূত্রে।
সূত্র মতে পূর্বনির্ধারিত ৩১ আগস্টের মধ্যেই তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে । তবে তার আগে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কমিটির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন কমিটির সদস্যরা।
ওই সূত্রমতে কমিটি গুছিয়ে এনেছেন তদন্ত কাজ। ঘটনার ‘উৎস ও কারণ জানা গেছে।’ ঘটনাটি তাৎক্ষণিক নাকি পরিকল্পিত ছিল- এর উত্তর ও পেয়েছেন তদন্ত কমিটি।
তবে এটা এখনই মিডিয়াকে বলে দেওয়া ঠিক হবে না। যেসব উত্তর পাওয়াগেছে তার আলোকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এখন নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা চালাবে কমিটির সদস্যরা। প্রাপ্ত তথ্য নিজেদের মধ্যে বিশ্নেষণের মধ্য দিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে আসতে চায় তদন্ত কমিটি।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে সিনহা নিহত হন। এ ঘটনা তদন্তে মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট করেছে মন্ত্রণালয়।
তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, এই তদন্তে কে গুলি করেছে সেটা বের করার কিছু ছিল না। কারণ যিনি গুলি করেছেন, সেটা সবার কাছে শুরু থেকেই পরিস্কার ছিল। লিয়াকত যে গুলি করেছেন, সেটা সে আনুষ্ঠানিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন।
এই ঘটনায় যেটা তদন্তের বিষয় তা হলো, গুলিটা কেন করা লাগল? গুলি এড়ানো যেত কিনা। এটা পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক। গুলির ঘটনার উৎস ও কারণ কী- এসব প্রশ্নের উত্তর তদন্ত কমিটির কাছে পরিষ্কার হয়েছে ।